জমির “খতিয়ান ভুল সংশোধন” করবেন কিভাবে?

খতিয়ানে ভুলে অন্যের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেলে,এর থেকে সমাধান এর উপায় :বিভিন্ন সময় দেখা যায় খতিয়ানে ভূলে অন্যের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।এই নিয়ে দেখা দেয় আইনি জটিলতা।আসুন দেখে নিয় খতিয়ান এর মধ্যে অন্যর নাম অন্তর্ভুক্ত হলে এর সমাধান এর উপায়। কোনো খতিয়ানে জরিপের সময় মূল মালিকের নামের পরিবর্তে ভুলে অন্য কোনো ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেলে মূল মালিককে খতিয়ান সংশোধনের জন্য জমির দাম অনুযায়ী উপযুক্ত আদালতে মামলা করতে হবে। আদালত খতিয়ান ভুল এই মর্মে রায় (ডিক্রি) দিলে সেই ডিক্রিমূলে খতিয়ান সংশোধনের জন্য এসির (ল্যান্ড) কাছে আবেদন করতে হবে। এমনকি সরকারি সম্পত্তি ভুলে খতিয়ানে কোনো ব্যক্তির নামে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেলে সরকারকেও খতিয়ান সংশোধনের ক্ষেত্রে একই পদ্ধতি আনয়ন করতে হবে। এ বিষয়ে হাইকোর্টের নজির হলো_’খতিয়ানসংক্রান্ত স্বত্বের প্রশ্নে একমাত্র দেওয়ানি আদালতই সিদ্ধান্ত প্রদান করতে পারে’ (১৫ ডিএলআর ৪৮৩)। কারণ রাজস্ব কর্মকর্তা এসির (ল্যান্ড) স্বত্ব নির্ধারণ করতে পারেন না। কোনো বিচারিক ক্ষমতা নেই। তিনি জমির আদালতের রায় বা ডিক্রিমূলে নামজারি করতে গেলে আবেদনকারীর স্বত্বসম্পর্কিত কোনো প্রশ্ন বা আপত্তি রাজস্ব কর্মকর্তা করতে পারেন না। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, ডিক্রি পাওয়ার পরও দখল ও স্বত্ব সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে রাজস্ব কর্মকর্তা আবেদনকারীকে হয়রানি করেন ও উৎকোচ প্রদানে বাধ্য করেন। উপজেলা ভূমি অফিসে প্রথমে নির্ধারিত ফরমে ৫ টাকার কোর্ট ফি সংযুক্ত করে আবেদন করতে হবে। আবেদন প্রাপ্তির পর দখল এবং রেকর্ড সংক্রান্তপ্রতিবেদনের জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে প্রেরণ করা হয়। ইউনিয়ন ভূমি অফিসের প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট পক্ষকে নোটিশ প্রদানক্রমে শুনানি গ্রহণ ও দাখিলিয় কাগজপত্রাদি বিবেচনায় কোন আপত্তি না থাকলে খতিয়ানের করণিক ভুল সংশোধনের আদেশ দেয়া হয়। আদেশ অনুসারে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সংশোধিত খতিয়ান প্রস্তুত করে পেশ করেন এবং কানুনগো প্রয়োজনীয় রেকর্ড সংশোধন করেন। সময়: সাধারণত ২৫-৩০ দিন। ফি: আবেদনে ৫/- টাকার কোর্ট ফি সংযুক্ত করতে হয় যোগাযোগ: উপজেলা ভূমি অফিসের সহঃ কমিশনার (ভূমি), সংশ্লিষ্ট সহকারী
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
১। সংশ্লিষ্ট সর্বশেষ নামজারি, এসএ, বিএস, সিএস খতিয়ানের ফটোকপি/ সার্টিফাইড কপি
২। সংশ্লিষ্ট মৌজার এসএ ও বিএস মৌজা ম্যাপ
৩। ওয়ারিশ সনদপত্র ((প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) [অনধিক ০৩ মাসের মধ্যে ইস্যুকৃত]
৪। মূল দলিলের ফটোকপি/ সার্টিফাইড কপি( প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
৫। সর্বশেষ জরিপের পর থেকে বায়া/পিট দলিল(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
৬। ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের দাখিলা
৭। আদালতের রায়/আদেশ/ডিক্রির সার্টিফাইড কপি
৮। আদালতের রায়/আদেশ/ডিক্রি থাকলে আরজির সার্টিফাইড কপি
৯। বিএস জরিপের মাঠপর্চা, ডিপি খতিয়ান ইত্যাদি
শর্তাবলী
আবেদন করতে হবে
জমির মালিকানার কাগজ ও দখল থাকতে হবে
আইন ও বিধি
১. এসএ এ্যান্ড টিএ্যাক্ট ১৯৫০
২. ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়াল ১৯৯০
৩. ভূমি মন্ত্রণালয়ের ০২/০৯/২০১৪ তারিখের ৩১.০০.০০০০.০৪২.৬৭.০৩১.১১.৫৮৫ নং পরিপত্র




দেওয়ানী মামলা ও ফৌজদারী মামলার পার্থক্য
সিভিল কেস বা দেওয়ানি মামলা যে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা অন্য কারওর বিরুদ্ধে আনতে পারে। যে মামলা আনে তাকে বলা হয় বাদী। অন্য পক্ষে ফৌজদারি মামলায় অভিযোক্তা হয় সরকার অর্থাৎ শুধু সরকার বা গভর্নমেণ্টই ফৌজদারি মামলা আনতে পারে।
দেওয়ানী মামলার ধাপ বা পর্যায় সমূহঃ
আদালত সম্পর্কে বিচার প্রার্থীদের অনভিজ্ঞতা এবং ভয় ভীতি পরোক্ষভাবে আদালতের দাড়গোড়ায় তাদের ভোগান্তি বৃদ্ধি করে। মামলা সাধারণত ফৌজদারী বা দেওয়ানী এই দুই প্রকারের হয়। জমি জমা বা সম্পদ এবং পদ সংক্রান্ত মামলাকে দেওয়ানী মামলা বলা হয়। দেওয়ানী মামলা বিচারে কয়েকটি ধাপ আছে এবং প্রতিটি ধাপের জন্য আইনের কিছু নির্দিষ্ট বিধান রয়েছে। দেওয়ানী মামলার পূর্ব শর্ত আরজি গঠন। বাদীর নালিশের লিখিত বিবরণকে আরজি বলা হয়।
ভূমি রেকড ও জরিপ অধিদপ্তরের সেবা সমূহ
জরিপ কার্য়ক্রমের বিভিন্ন স্তরের নাম, সেবার বিবরণ, ভূমি মালিকের করণীয়, ও সেবা প্রদানে নিয়োজিত কর্মকর্তা/কর্মচারি


Free Web Hosting