আজ জেনে নিন কোন দেশ কিসের জন্য বিখ্যাত ++

১। সবচেয়ে বেশী চাল রপ্তানী করে → থাইল্যান্ড।
২। খনিজ তেলের প্রধান শীর্ষ রপ্তানী কারক→
সৌদি আরব।
৩। তেল রিজার্ভে শীর্ষ দেশ → ভেনিজুয়েলা।
৪। তেল আমদানিতে শীর্ষ দেশ → যুক্তরাষ্ট্র।
৫। তেল ব্যবহারে শীর্ষ দেশ → যুক্তরাষ্ট্র।
৬। তেল উত্পাদনে শীর্ষ দেশ → রাশিয়া।
৭। পৃথিবীর সর্বোচ্চ চিনি রপ্তানীকারক
দেশ→কিউবা।
৮। চিনির আধার বলা হয় → কিউবাকে।
৯। পৃথিবীর প্রধান অভ্র রপ্তানীকারক দেশ →ভারত।
১০। কার্পেট রপ্তানীতে শীর্ষ দেশ → ইরান।
১১। বিশ্বের সবচেয়ে বেশী গম উৎপন্ন হয় →চীনে।
১২। বিশ্বের সবচেয়ে বেশী চা উৎপন্ন হয় →ভারতে ।
১৩। বিশ্বের প্রধান তামা উৎপাদনকারী
দেশ→যুক্তরাষ্ট্র।
১৪। সবচেয়ে বেশী কফি উত্পন্ন হয় →ব্রাজিলে।
১৫। পৃথিবীর প্রায় সমুদয় চা উৎপন্ন হয় →এশিয়া মহাদেশে।
★ পৃথিবীর সাতটি মহাদেশের প্রতিটি দেশেরই রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য। বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন কারণে সুপরিচিত। এর মধ্যে কিছু বিষয় বেশ মজার। কোনও দেশ খাবারের জন্য বিখ্যাত তো আবার কোনোটি বিশ্বসুন্দরীদের জন্য! কোনও দেশ আবার সুখী তালিকায় এগিয়ে, কোনোটি আবার বিয়েবিচ্ছেদের জন্য! চলুন দেখা যাক, পৃথিবীর কোন দেশ কীসের জন্য বিখ্যাত।

যুক্তরাষ্ট্র
আমেরিকান নাগরিকরা মাংস খেতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে। মার্কিনিরা প্রতি বছর জনপ্রতি গড়ে মাংস সাবাড় করে ১২০ কেজি! এক্ষেত্রে কুয়েত, অস্ট্রেলিয়া, লুক্সেমবুর্গ ও বাহামা দ্বীপপুঞ্জের অধিবাসীদের চেয়েও তারা অনেক এগিয়ে।

ব্যক্তিগত পিস্তল রাখার সংখ্যায়ও এগিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ১০০ বাসিন্দার মধ্যে ১১২ দশমিক ৬ শতাংশের কাছে বৈধ অস্ত্র রয়েছে। এক্ষেত্রে তাদের পরে আছে সার্বিয়া (৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ)। আমেরিকায় বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ৫৪০।

পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বিমানবন্দর আছে আমেরিকায়। সংখ্যাটা হলো ১৩ হাজার ৫১৩টি। এগুলো থেকে ৯৫ লাখ ৫৩ হাজার ২১৪টি ফ্লাইট ছেড়েছে। ২০১৪ সালের হিসাব এটি। যুক্তরাষ্ট্রে ৬৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬১০ কিলোমিটার সড়কপথ ও ২ লাখ ২৪ হাজার ৭৯২ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে। আর আগ্নেয়গিরি আছে ১৭৩টি।

ফ্রান্স
পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি পর্যটক সমাগম ঘটে দেশটিতে। ২০১৫ সালের এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, প্রতি বছর ৮ কোটি ৪৫ লাখ ভ্রমণপিপাসুরা ফ্রান্সে বেড়াতে যান। তালিকায় এরপরে আছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, চীন ও ইতালি। ফরাসিদের নয়নাভিরাম পাহাড়, সমুদ্র সৈকত, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি ও সুস্বাদু খাবার সব দেশের নাগরিককে টানে।

মালদ্বীপ
দ্বীপরাষ্ট্রটি মধুচন্দ্রিমা উদযাপনের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয়। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস! মালদ্বীপে বিয়েবিচ্ছেদের হার বছরে প্রায় ১০ দশমিক ৯৭ শতাংশ! এটি তাদেরকে স্থান করে দিয়েছে গিনস বুক অব রেকর্ডসে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মালদ্বীপের একজন নারীর ৩০ বছরের মধ্যে তিনবার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এর পেছনে অনেক কারণ আছে। অল্প বয়সে বিয়ে, বিচ্ছেদের সহজ আইন, কর্মরত নারীদের সন্তানের জন্য যত্ন নেওয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকা।

দক্ষিণ কোরিয়া
ইন্টারনেটে পড়ে থাকতে হলে দক্ষিণ কোরিয়া আদর্শ দেশ। সেখানকার ইন্টারনেটের গতি ও ফোরজি নেটয়ার্ক সবচেয়ে দ্রুত কাজ করে। এক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার পেছনে আছে আয়ারল্যান্ড, হংকং ও সুইডেন।

ভারত
বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের নাগরিকরা পৃথিবীর অন্য সব দেশের চেয়ে কম মাংস খেয়ে থাকেন। অর্থাৎ তাদের বেশিরভাগই নিরামিষভোজী। বছরে তারা গড়ে ৪ কেজি মাংস সাবাড় করেন। এছাড়া স্বল্প খরচে জীবিকা নির্বাহ আর অবকাশযাপনের জন্য ভারত অতুলনীয়। সেখানে বাসস্থান, খাবার, পানি, পরিবহন, পোশাক, ট্যাক্সি ভাড়া, আনন্দভ্রমণ, ইন্টারনেট কিংবা ফোন বিল সবকিছুরই খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক কম। ভারতেই বছরে সবচেয়ে বেশি ১৮ দিন ব্যাংক হলিডে থাকে।

নেদারল্যান্ডস
পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা জাতি বলা হয় ডাচদের। এ দেশের প্রায় সব জনগণ অনেক লম্বা হয়ে থাকেন। একজন ডাচ নাগরিক সাধারণত ১.৮৩৮ মিটার (৬ ফুটেরও বেশি) পর্যন্ত লম্বা হন। আর দেশটির নারীদের উচ্চতা গড়ে ১.৬৯৯ মিটার (৫ ফুট ৫ ইঞ্চিরও বেশি)। লম্বা নাগরিকের বেলায় নেদারল্যান্ডসের পরেই আছে মনটেনেগ্রো, ডেনমার্ক ও নরওয়ে। আর সবচেয়ে খর্বাকৃতির মানুষের সংখ্যা ইন্দোনেশিয়ায় বেশি।

কাতার
কার্বনডাই অক্সাইড নির্গমনের দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে এই দেশ। পরিমাণটা বছরে ৩৫ দশমিক ৭৩ টন।

নিউজিল্যান্ড
লেগাটাম প্রসপারিটি ইনডেক্সের জরিপ অনুযায়ী, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সামাজিকতা বজায়ের দিক দিয়ে সুপরিচিত এই দেশ।

মেক্সিকো
সবচেয়ে বেশি পরিশ্রমী এ দেশের মানুষ। বছরে একজন মেক্সিকান গড়ে ২ হাজার ২৪৬ ঘণ্টা তথা সপ্তাহে ৪৩ দশমিক ২ ঘণ্টা কাজ করেন। এক্ষেত্রে তাদের পরে আছে যথাক্রমে কোস্টারিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, গ্রিস ও চিলি। মেক্সিকোতে বছরে সবচেয়ে কম (৭ দিন) ব্যাংক হলিডে থাকে।

ভেনেজুয়েলা
বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় ভেনেজুয়েলার ছয়জন বিজয় মুকুট জিতেছেন। যুক্তরাজ্য (৫), ভারত (৫) ও যুক্তরাষ্ট্র (৩) আছে তাদের পেছনে। এছাড়াও ভেনেজুয়েলায় স্বল্প মূল্যে পেট্রোল মেলে। দেশটিতে মাত্র ০.০১ ডলারেই কেনা যায় এক লিটার পেট্রোল। সৌদি আরবে এক লিটার পেট্রোলের মূল্য ০.২৪ ডলার।

আইসল্যান্ড
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের রিপোর্ট বলছে, এ দেশে নারী-পুরুষের সমঅধিকার মেনে চলা হয় সবচেয়ে বেশি। এক্ষেত্রে পেছনে পড়ে গেছে নরওয়ে, ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। তবে উল্টোদিকে রয়েছে সবচেয়ে বেশি গাঁজা সেবনের রেকর্ড। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, আইসল্যান্ডের ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ গাঁজা সেবন করে।

স্যান মারিও
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন জানিয়েছে, গাড়ি চালানোর জন্য বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ সড়ক রয়েছে ইউরোপের স্যান মারিওতে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ইরিট্রিয়া (৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ)।

মিসর
সুউচ্চ পিরামিড ছাড়াও আরেকটি কারণে মিসর বিখ্যাত। এই দেশেই সবচেয়ে সস্তায় বার্গার পাওয়া যায়। আমেরিকায় যেখানে একটি বার্গার কিনতে ৫ ডলার লাগে, সেখানে মিসরে ৪ দশমিক ৩৮ ডলারে চারটি বার্গার পাওয়া যায়।

সুরিনেম
দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশের সবুজ গাছগাছালি কিংবা অরণ্যের জনপ্রিয়তা দুনিয়াজোড়া। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুরিনেমের ৯৫ ভাগই গাছে মোড়ানো!

কোস্টারিকা
হ্যাপি প্লানেট ইনডেক্সের জরিপ অনুযায়ী, পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী রাষ্ট্র কোস্টারিকা।

অন্যান্য
ভুটান: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সবচেয়ে উঁচু দেশ।
মোনাকো: সাত মহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন দেশ মোনাকো। আর সবচেয়ে কম বয়সী দেশ নাইজার।
জাপান: বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গড় আয়ু জাপানিদের। বিপরীতে কম বয়সে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা সিয়েরা লিওনে বেশি।
হংকং: সবচেয়ে শহরকেন্দ্রিক দেশ। সবচেয়ে কম শহুরে রাষ্ট্র ইথিওপিয়া।
চীন: পৃথিবীর সবচেয়ে কম ইংরেজি জানা লোক চীনে।
ইতালি: সবচেয়ে বেশি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট।
কানাডা: সবচেয়ে বেশি উপকূলীয় অঞ্চল।
বারমুডা: বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল দেশ।
ফ্যারো আইল্যান্ড: সবচেয়ে বেশি নোবেল জয়ীর দেশ।
সূত্র: টেলিগ্রাফ



Relative Post
নীলাচল

মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্সের কাছেই নীলাচল। যা বান্দরবান শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নীলাচলের উচ্চতা প্রায় ২০০০ ফুট। এখান থেকে পাখির চোখে দেখতে পারবেন পুরো বান্দরবান শহরকে। বর্ষা মৌসুমে এখানে পাবেন মেঘের মধ্যদিয়ে হেঁটে যাওয়ার রোমাঞ্চ।বিস্তারিত>>

প্রান্তিকলেক

সৌন্দর্যময় অপরুপ লীলাভুমি বান্দরবান শহর থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে হলুদিয়া নামক স্থানে প্রান্তিক লেক (Prantik Lake)ও পর্যটন কেন্দ্র অবস্থিত। পাহাড় বেষ্টিত ৬৮ একর এলাকা জুড়ে এ পর্যটন কেন্দ্রর মাঝে ২৫ একরের বিশাল প্রান্তিক লেক।বিস্তারিত>>

শৈল প্রপাত

শৈল প্রপাত মিলনছড়ি এলাকায় অবস্থিত এবং বান্দরবান থেকে থানচিগামী সড়কের চার কিলোমিটারের মধ্যেই। বান্দরবানের উল্লেখযোগ্য জলপ্রপাতের মধ্যে এটি একটি। বর্ষাকালে এখনকার পানির প্রবাহ খুব বেশি থাকে। এখানে ভ্রমণকালে ছোট ছোট বাজারগুলোতে আদিবাসীদের তৈরি হস্তশিল্প, তাঁতের দ্রব্যাদি ও খাদ্যসামগ্রীর সংস্পর্শও পাবেন। বিস্তারিত>>

মিলনছড়ি

অবকাশ যাপন, আনন্দ ভ্রমণ ও অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়দের জন্য প্রিয় নাম বান্দরবান। পর্যটন শহর বান্দরবান জেলার রয়েছে ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির বসবাস। আচার-আচরন, সংষ্কৃতি ও উৎসব থেকে শুরু করে খাবারেও রয়েছে বিশাল বৈচিত্র। এ জেলার বৈচিত্র শুধু এখানকার বসবাসকারী মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ তাই নয় বান্দরবান জেলার প্রতিটি স্থানই অত্যন্ত বৈচিত্রপূর্ন ও আকর্ষনীয়।বিস্তারিত

মেঘলা

আকর্ষণীয় অবসর বিনোদন কেন্দ্র হলো মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স। বান্দরবান পার্বত্য জেলা কাউন্সিলের খুব কাছেই এটি অবস্থিত। বান্দরবান শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে কেরাণীহাট সড়কে অবস্থিত মেঘলায় রয়েছে একটি মিনি সাফারি পার্ক, একটি চিড়িয়াখানা, ঝুলন্ত ব্রিজ, পাহাড়ের নিচে একটি কৃত্রিম লেক এবং নৌকা ভ্রমণের সুবিধা। পিকনিক করার জন্য চমৎকার জায়গা এটি। মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের অভ্যন্তরে ভারী খাবারের ব্যবস্থা নেই, শুধু স্ন্যাকস পাওয়া যাবে। মেঘলা থেকে একটু বাইরে হলিডে ইন রিসোর্ট ও পর্যটন মোটেলে চাইনিজ ও কন্টিনেন্টাল ফুড পাওয়া যাবে। দুটিতেই রয়েছে রাত যাপনের ব্যবস্থা। বান্দরবান শহর থেকে মেঘলায় যাওয়ার জন্য প্রাইভেট জিপ কিংবা অটোরিকশা রিজার্ভ করতে পারেন। লোকাল বাসও পাওয়া যাবে।বিস্তারিত

Free Web Hosting