দেশের কোন জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
বাংলাদেশ ইতিহাস ও ঐতিহ্য এর দিক দিয়ে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ। দেশের বিভিন্ন জেলা আমাদের সংস্কৃতিকে করেছে আলোকিত। বাংলাদেশের কোন জেলা খাবার,কৃষ্টি, পোশাক ও স্থানের ইত্যাদির কারণে বিখ্যাত। আসুন জেনে নিই সে সব-

আমাদের ৮ টি বিভাগের মধ্যে মোট ৬৪ টি জেলা রয়েছে এবং প্রত্যেকটি জেলা কোন না কোন কারণে বিখ্যাত। অথচ আমরা অনেকেই জানিনা আমাদের পাশের জেলাটিই কি কারনে বিখ্যাত। তাই আমরা আজকে দেখবো আমাদের কোন জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত। আর এসব জানার মাধ্যমে আমরা ঐসব জেলার ইতিহাস – ঐতিহ্য নিয়েও কিছুটা ধারণা পাবো৷ ৷ তাই চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক। আজকের এ পর্বে আমরা দেখবো ঢাকা, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগন্জ, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, গাজীপুর এবং ফেনী জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত।

০১) নাটোর – —- কাঁচাগোল্লা, বনলতা সেন

০২) রাজশাহী – — আম, রাজশাহী সিল্ক শাড়ী

০৩) টাঙ্গাইল – —- চমচম, টাংগাইল শাড়ি

০৪) দিনাজপুর —- লিচু, কাটারিভোগ চাল, চিড়া, পাপড়

০৫) বগুড়া – —- দই

০৬) ঢাকা—— বেনারসী শাড়ি, বাকরখানি

০৭) কুমিল্লা —– রসমালাই, খদ্দর (খাদী)

০৮) চট্রগ্রাম —– মেজবান , শুটকি

০৯) খাগড়াছড়ি—- হলুদ

১০) বরিশাল —– আমড়া

১১) খুলনা —— সুন্দরবন, সন্দেশ, নারিকেল, গলদা চিংড়ি

১২) সিলেট – —- কমলালেবু, চা, সাতকড়ার আচার

১৩) নোয়াখালী—- নারকেল নাড়, ম্যাড়া পিঠা

১৪) রংপুর – —– তামাক, ইক্ষু

ঢাকা জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত?

ঢাকা, বাংলাদেশের রাজধানী। আর এই রাজধানী ঢাকা বিখ্যাত বেনারসি শাড়ি এবং কাচ্চি বিরিয়ানির এর জন্য। ঢাকার এই বেনারসি শাড়ির মূল উত্‍পত্তিস্থল হলো ভারতের বেনারস শহর (যার থেকে নাম বেনারসি শাড়ি)। তবে ঠিক কবে থেকে ঢাকা শহরের মুসলিম তাঁতিরা বংশ পরম্পরায় বেনারসি শাড়ি তৈরি করে আসছে, তা জানা না গেলেও এটি ঢাকার ঐতিহ্যের অংশ হয়ে গেছে। অন্যদিকে পুরান ঢাকার কাচ্চি বিরিয়ানি সেই মোঘল আমল থেকেই সবার কাছে খুব জনপ্রিয়। আজও বিরিয়ানির সেই ঐতিহ্য পুরান ঢাকাবাসী ধরে রেখেছে। আর তাই পুরান ঢাকায় দেখা যায় প্রচুর বিরিয়ানির দোকান। এসব দোকানের মধ্যে অন্যতম হল কাজী আলাউদ্দিন রোডের হাজীর বিরিয়ানী, মৌলভীবাজার রোডের নান্না মিয়ার বিরিয়ানী এবং নবাবপুরের ষ্টার হোটেলের কাচ্চি বিরিয়ানী।

নারায়ণগন্জ জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত?

নারায়ণগন্জ জেলা বিখ্যাত পাট এবং বস্ত্র শিল্পের জন্য। এই জেলা বাংলাদেশের অত্যন্ত প্রাচীন এবং প্রসিদ্ধ একটি অঞ্চল। জেলাটি সোনালী আশঁ, পাটের জন্য ‘প্রাচ্যের ড্যান্ডি’ নামে পরিচিত। বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাটকল আদমজী পাটকল নারায়ণগঞ্জেই অবস্থিত ছিল। তবে বর্তমানে এই পাটকল বন্ধ করে আদমজী ইপিজেড গড়ে তোলা হয়েছে। এই অঞ্চলের জামদানি ও মসলিনের কাপড় তৈরির ইতিহাস প্রায় সাড়ে ৪ শত বছরের পুরোনো। ইতিহাস খ্যাত মসলিন কাপড় প্রচীনকালে এখানে তৈরী হতো। তবে বর্তমানে জামদানি শিল্প টিকে থাকলেও মসলিন শিল্প বিলুপ্ত।

টাঙ্গাইল জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত?

টাঙ্গাইল জেলা বিখ্যাত পোড়াবাড়ির চমচম এবং টাঙ্গাইল শাড়ির জন্য। টাঙ্গাইল শব্দটা মনে বললেই আমাদের মনে এই দুটি শব্দ এসে যায়। আর টাঙ্গাইল জেলার এই তাঁত শিল্প বাংলাদেশের অন্যতম ঐতিহ্য যা হাজার বছরেরও পুরনো। প্রাচীন কাল থেকেই টাঙ্গাইলের দক্ষ কারিগররা তাদের বংশ পরম্পরায় তৈরি করছেন এই টাঙ্গাইল শাড়ি। এমনকি বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা ও হিউয়েন সাং- এর ভ্রমণ কাহিনীতেও টাঙ্গাইলের তাঁত শিল্পের উল্লেখ রয়েছে। আর মিষ্টির রাজা বলে খ্যাত পোড়াবাড়ির চমচমের স্বাদ আর স্বাতন্ত্রের ও এর জুড়ি মেলাভার। এই সুস্বাদু ও লোভনীয় চমচম মিষ্টি টাঙ্গাইলের অন্যতম একটি ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্য প্রায় ২শ’ বছরের প্রাচীন। বাংলা বিহার ছাড়িয়ে ভারত বর্ষ তথা গোটা পৃথিবী এর সুনাম রয়েছে। টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ির এবং পোড়াবাড়ির চমচমের কারনেই টাঙ্গাইলের সুনাম পুরো দেশ ছারিয়ে সমগ্র বিশ্বব্যাপী।

মুন্সিগঞ্জ জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত?

মুন্সিগঞ্জ জেলা বিখ্যাত ভাগ্যকুলের মিষ্টি এবং আলুর জন্য। পূর্বে বিক্রমপুর নামে পরিচিত এই মুন্সিগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজনৈতিক কেন্দ্র ছিল। এমনকি এই অঞ্চলটি চন্দ্র, বর্মন ও সেন রাজাদের রাজধানীও ছিল। তবে সেই ঐতিহ্য এখন আর নেই। তবুও দেশব্যাপী এর খ্যাতি আছে মিষ্টি এবং আলুর জন্য। এছাড়া এককালে মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর তথা রামপালের কলার প্রচুর খ্যাতি ছিল দেশ-বিদেশে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে রামপালের ওই কলা যেতো মধ্য প্রাচ্য, ইউরোপ, আফ্রিকা ও আমেরিকায়।

ফরিদপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত?

ফরিদপুর জেলা বিখ্যাত খেজুরের গুঁড়ের জন্য। শীতকালে ফরিদপুরের গ্রামগুলোতে প্রতিদিনই খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয় আর তা থেকে চলে খেজুরের গুড় তৈরি। এসব গুড় পায়েস, পিঠা বা মিষ্টিতে ব্যবহার করলে তার স্বাদ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এছাড়া শীতের সকালে অনেকেরই পছন্দের পানীয় খেজুরের রস যা শীতের সকালে ফরিদপুরে প্রায় সবখানেই দেখা যায়।

গোপালগঞ্জ জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত?

গোপালগঞ্জ জেলা বিখ্যাত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং রপ্তানিযোগ্য পাট ও তরমুজের জন্য। গোপালগঞ্জ জেলার কথা চিন্তা করলেই মনে আশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা। হ্যাঁ, তার জন্মস্থান গোপালগঞ্জেই। এছাড়া এ অঞ্চলের পাট ও তরমুজ দেশব্যাপী সমাদৃত। বর্তমানে এসব পাট ও তরমুজ বিদেশে রপ্তানি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

গাজীপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত?

গাজীপুর জেলা বিখ্যাত কাঁঠাল এবং পেয়ারার জন্য। গ্রীষ্মকালে গাজীপুর জেলার গ্রামগুলো হয়ে উঠে কাঁঠালে সয়লাব। যেদিকে চোখ যায় শুধু কাঁঠাল আর কাঁঠাল। বাড়ির উঠোন, ঘরের বারান্দা সবখানেই একই দৃশ্য। হাট-বাজারে বিক্রিও হচ্ছে খুব। শুধু তাই-ই নয়, এ কাঁঠাল চলে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের ১৫টি দেশে। আর গাজীপুরের পেয়ারাও খুবই জনপ্রিয়। চাহিদা থাকার কারনে সারা বছরই এসব পেয়ারা বাজারে দেখা যায়। এই এলাকার পেয়ারাগুলো উন্নত জাতের এবং আকারেও অনেক বড় হয়।

ফেনী জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত?

ফেনী জেলা বিখ্যাত মহিষের দুধের ঘি এবং খন্ডলের মিষ্টির জন্য। বাংলাদেশের মিষ্টি জগতে ফেনিতে অবস্থিত পরশুরামের খন্ডলের মিষ্টি এক অনন্য নাম। সেই ১৯৭০ সালে এই দৃষ্টি নন্দন ও সু-স্বাদু মিষ্টি তাদের ঐতিহ্যের স্বাদ ধরে রেখেছে। মিষ্টি তৈরীর দৃশ্য দেখার জন্য এবং কিনার জন্য প্রতিদিন ব্যাপক মানুষের সমাগম হয় এখানে। এমনি নব্বইয়ের দশকে তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াও এই খন্ডলের মিষ্টি খেয়ে খুবই খুশি হন। অন্যদিকে মহিষের দুধে অনেক বেশি ফ্যাট থাকে। যেকারনে মহিষের দুধ দিয়ে গাভীর দুধের প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ ঘি তৈরি করা যায়। ফেনীর এই মহিষের ঘিও দেশব্যাপী সমৃদ্ধ।

প্রিয় পাঠক! আমাদের দেশের বিভিন্ন জেলায় অনেক ধরনের পণ্য রয়েছে যা একেবারেই আমাদের নিজস্ব। যেমন বগুড়ার দই, কুমিল্লার রসমালাই, টাঙ্গাইলের চমচম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, রাজশাহীর রেশম, চাঁদপুরের ইলিশ ইত্যাদি। আশা করি এই পণ্যগুলোকে ব্র্যান্ডের মর্যাদা দিয়ে আমরা সকল জেলা তথা বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে তুলে ধরতে পারবো। আর পোষ্টটি ভালো লাগলে আশাকরি অবশ্যই সবার সাথে শেয়ার করবেন।

১. সিলেট: কমলালেবু, চা, সাতকড়ার আচার
২. রাজশাহী: আম, রাজশাহী সিল্ক,
৩. টাঙ্গাইল: চমচম, টাংগাইল শাড়ি

৪. দিনাজপুর: লিচু, কাটারিভোগ চাল, চিড়া, পাপড়
৫. বগুড়া: দই

৬. ঢাকা: বেনারসী শাড়ি, বাকরখানি
৭ কুমিল্লা: রসমালাই, খদ্দর (খাদী)
৮ চট্রগ্রাম: মেজবান , শুটকি
৯. খাগড়াছড়ি: হলুদ
১০. বরিশাল: আমড়া
১১. খুলনা: সুন্দরবন, সন্দেশ, নারিকেল, গলদা চিংড়ি
১২. নাটোর: কাঁচাগোল্লা, বনলতা সেন
১৩. নোয়াখালী: নারকেল নাড়, ম্যাড়া পিঠা (?)
১৪. রংপুর: তামাক, ইক্ষু

১৫. গাইবান্ধা: রসমঞ্জরী
১৬. চাঁপাইনবাবগঞ্জ: আম, শিবগঞ্জের চমচম, কলাইয়ের রুটি
১৭. পাবনা: ঘি, লুঙ্গি, পাগলাগারদ
১৮. সিরাজগঞ্জ: পানিতোয়া, ধানসিড়িঁর দই
১৯. গাজীপুর: কাঁঠাল, পেয়ারা
২০. ময়মনসিংহ: মুক্তা-গাছার মন্ডা
২১. কিশোরগঞ্জ: বালিশ-মিষ্টি
২২. জামালপুর: ছানার পোলাও, ছানার পায়েস
২৩. শেরপুর: ছানার পায়েস, ছানার চপ
২৪. মুন্সীগঞ্জ: ভাগ্যকুলের মিষ্টি
২৫. নেত্রকোনা: বালিশ মিষ্টি
২৬. ফরিদপুর: খেজুরের গুড়
২৭. রাজবাড়ী: চমচম, খেজুরের গুড়
২৮. মাদারীপুর: খেজুর গুড়, রসগোল্লা
২৯. সাতক্ষীরা: সন্দেশ
৩০. বাগেরহাট: চিংড়ি, ষাটগম্বুজ মসজিদ, সুপারি
৩১. যশোর: খই, খেজুর গুড়, জামতলার মিষ্টি
৩২. মাগুরা: রসমালাই
৩৩. নড়াইল: পেড়ো সন্দেশ, খেজুর গুড়, খেজুর রস
৩৪. কুষ্টিয়া: তিলের খাজা, কুলফি আইসক্রিম
৩৫. মেহেরপুর: মিষ্টি সাবিত্রি, রসকদম্ব
৩৬. চুয়াডাঙ্গা: পান, তামাক, ভুট্টা
৩৭. ঝালকাঠি: লবন, আটা
৩৮. ভোলা: নারিকেল, মহিষের দুধের দই
৩৯. পটুয়াখালী: কুয়াকাটা
৪০. পিরোজপুর: পেয়ারা, নারিকেল, সুপারি, আমড়া
৪১. নরসিংদী: সাগর কলা

৪২. নওগাঁ: চাল, সন্দেশ

৪৩. মানিকগঞ্জ: খেজুর গুড় ৪৪. কক্সবাজার: সমুদ্র সৈকত, রামুর রাবার বাগান, মহেষখালীর পান,



Relative Post
নীলাচল

মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্সের কাছেই নীলাচল। যা বান্দরবান শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নীলাচলের উচ্চতা প্রায় ২০০০ ফুট। এখান থেকে পাখির চোখে দেখতে পারবেন পুরো বান্দরবান শহরকে। বর্ষা মৌসুমে এখানে পাবেন মেঘের মধ্যদিয়ে হেঁটে যাওয়ার রোমাঞ্চ।বিস্তারিত>>

প্রান্তিকলেক

সৌন্দর্যময় অপরুপ লীলাভুমি বান্দরবান শহর থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে হলুদিয়া নামক স্থানে প্রান্তিক লেক (Prantik Lake)ও পর্যটন কেন্দ্র অবস্থিত। পাহাড় বেষ্টিত ৬৮ একর এলাকা জুড়ে এ পর্যটন কেন্দ্রর মাঝে ২৫ একরের বিশাল প্রান্তিক লেক।বিস্তারিত>>

শৈল প্রপাত

শৈল প্রপাত মিলনছড়ি এলাকায় অবস্থিত এবং বান্দরবান থেকে থানচিগামী সড়কের চার কিলোমিটারের মধ্যেই। বান্দরবানের উল্লেখযোগ্য জলপ্রপাতের মধ্যে এটি একটি। বর্ষাকালে এখনকার পানির প্রবাহ খুব বেশি থাকে। এখানে ভ্রমণকালে ছোট ছোট বাজারগুলোতে আদিবাসীদের তৈরি হস্তশিল্প, তাঁতের দ্রব্যাদি ও খাদ্যসামগ্রীর সংস্পর্শও পাবেন। বিস্তারিত>>

মিলনছড়ি

অবকাশ যাপন, আনন্দ ভ্রমণ ও অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়দের জন্য প্রিয় নাম বান্দরবান। পর্যটন শহর বান্দরবান জেলার রয়েছে ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির বসবাস। আচার-আচরন, সংষ্কৃতি ও উৎসব থেকে শুরু করে খাবারেও রয়েছে বিশাল বৈচিত্র। এ জেলার বৈচিত্র শুধু এখানকার বসবাসকারী মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ তাই নয় বান্দরবান জেলার প্রতিটি স্থানই অত্যন্ত বৈচিত্রপূর্ন ও আকর্ষনীয়।বিস্তারিত

মেঘলা

আকর্ষণীয় অবসর বিনোদন কেন্দ্র হলো মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স। বান্দরবান পার্বত্য জেলা কাউন্সিলের খুব কাছেই এটি অবস্থিত। বান্দরবান শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে কেরাণীহাট সড়কে অবস্থিত মেঘলায় রয়েছে একটি মিনি সাফারি পার্ক, একটি চিড়িয়াখানা, ঝুলন্ত ব্রিজ, পাহাড়ের নিচে একটি কৃত্রিম লেক এবং নৌকা ভ্রমণের সুবিধা। পিকনিক করার জন্য চমৎকার জায়গা এটি। মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের অভ্যন্তরে ভারী খাবারের ব্যবস্থা নেই, শুধু স্ন্যাকস পাওয়া যাবে। মেঘলা থেকে একটু বাইরে হলিডে ইন রিসোর্ট ও পর্যটন মোটেলে চাইনিজ ও কন্টিনেন্টাল ফুড পাওয়া যাবে। দুটিতেই রয়েছে রাত যাপনের ব্যবস্থা। বান্দরবান শহর থেকে মেঘলায় যাওয়ার জন্য প্রাইভেট জিপ কিংবা অটোরিকশা রিজার্ভ করতে পারেন। লোকাল বাসও পাওয়া যাবে।বিস্তারিত

Free Web Hosting